হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি তাঁর ভিডিও বার্তায়, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের দেড় হাজারতম বার্ষিকীতে ইসফাহান চেম্বার অব কমার্সের কনফারেন্স হলে, বলেন: সালমান ফারসি বিভিন্ন কারণে সম্মান ও মনোযোগের যোগ্য। প্রথমত, তিনি একজন ইরানি ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণের পর এই ধর্মে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয়ত, খন্দকের যুদ্ধে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও খন্দক খননের প্রস্তাব যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে দেয় এবং মুসলমানদের জন্য এক বিশাল বিজয় বয়ে আনে।
তিনি আরও যোগ করেন: সালমানের জীবন প্রমাণ করে যে ইসলাম কোনো স্থানীয় বা ভৌগোলিকভাবে সীমাবদ্ধ ধর্ম নয়; বরং এটি সীমান্ত ও দেশগুলির গণ্ডি অতিক্রম করেছে, এবং সব জাতিই এর আলোকে সুখ-সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। সালমান ইসলাম গ্রহণের পথে অসংখ্য কষ্ট সহ্য করেছিলেন, নিজের জন্মভূমি ছেড়ে মদিনায় এসেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত মাদায়েনের গভর্নর নিযুক্ত হন। কিন্তু শাসন ক্ষমতার অবস্থানেও তিনি সরল জীবনযাপন বজায় রেখেছিলেন, যা বিলাসপ্রিয় ইরানিদের জন্য এক জাগরণ ছিল।
এই মারজায়ে তাকলিদ উল্লেখ করেন: সালমানের সরল জীবনযাপন—শাসনকালে হোক কিংবা তার আগে—এক মূল্যবান অধ্যায়, যার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তদুপরি, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সালমান সম্পর্কে বাণীগুলি, যা অন্য কারও সম্পর্কে এভাবে বলা হয়নি, তাঁর বিশেষ মর্যাদা তুলে ধরে। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিটি দিক সুনির্দিষ্ট ও স্বাধীন গবেষণার দাবি রাখে।
হযরত আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি জোর দিয়ে বলেন: সালমান ফারসিকে পরিচিত করানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তাঁর জীবন ও ঘটনার গল্পগুলো শিশুদের উপযোগী ভাষায় রচনা করা, যাতে নতুন প্রজন্ম এই ইসলামের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকে চিনতে পারে এবং তাঁকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
আপনার কমেন্ট